বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০১:৩৭ অপরাহ্ন

স্বপ্নের রেল লাইনের উদ্বোধন ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : কক্সবাজার পর্যন্ত রেল লাইন সংযোগ হওয়ার বিষয়টি গৌরবের বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে রেল সংযোগ একটি নতুন ইতিহাস রচিত হয়েছে। কক্সবাজার জেলাবাসির দীর্ঘদিনের প্রতিক্ষার অবসান হয়েছে।

দোহাজারি-কক্সবাজার রেল লাইন প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এশিয়ান বৃহৎ এবং ঝিনুক আদলে তৈরি আইকনিক রেল স্টেশনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কক্সবাজার এখন থেকে আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

শনিবার ১১টা ৩৫ মিনিটের সময় তিনি অনুষ্ঠান স্থলে পৌঁছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বেলা ১২ টা ১৫ মিনিটে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদান শুরু করেন।

প্রধানমন্ত্রী সুধি সমাবেশ পৌঁছঅর পর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া শেষে শিশুদের সাথে ছবি তুলেন। এরপরই মঞ্চে উঠে বসেন। প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানের আগেই প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন একটি শুভেচ্ছা স্মারক। রেলমন্ত্রী ও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সভাপতি নুরুল ইসলাম সুজন।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, রেলকে আগামি ৩ বছরের মধ্যে আন্তর্জাতিক মানের করতে কাজ শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। করোনা মাহমারিতে বিনামূল্যে চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। বিশ্বের নানা দেশে যুদ্ধের কারণে কিছু মূল্য বেড়েছে। তাই প্রতিটি মানুষকে খালি জায়গায় খাদ্য উৎপাদন করতে অনুরোধ।

তিনি বিএনপি ও জামায়াতকে উদ্দেশ্য করে বলেন, চোখ থাকতে অন্ধরা উন্নয়ন দেখে না। তাদের পরামর্শ ১০ টাকায় ঢাকায় চক্ষু চিকিৎসা নেয়া। যারা আগুন সন্ত্রাস করে। আগুন দিয়ে বাস পুড়িয়ে দেয়া, মানুষ হত্যা করে তাদের চোখ না মনও অন্ধ। তারা ধ্বংস করে সৃষ্টি করে না। এদের কাছ থেকে সর্তক থাকতে হবে।

তিনি এশিয়ান রেল ওয়ের সাথে এটা সংযোগ হবে। এটাকে সঠিক ব্যবহারের অনুরোধ জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটাকে নিজের সম্পদ মনে করে ব্যবহার করতে হবে। এটা পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্ব সকলের। চকরিয়া থেকে মাতারবাড়ি পর্যন্ত রেল সংযোগ হবে। বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে দেশবাসি ব্যবহারে যত্নবান হবেন। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এগিয়ে যাবে। এটার সাথে থাকতে হবে সকলকে।

রেল লাইনের জড়িতদের ধন্যবাদ জানিয়েছে ১ টায় বক্তব্য প্রদান শেষ করে দোহাজারি কক্সবাজার রেল লাইন প্রকল্পের উদ্বোধন ঘোষণার মধ্য দিয়ে।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, একে একে রেল বন্ধ করে দেয়া হল। বলা হল রেল লাভ জনক না। এই রেল সাধারণ মানুষের চলাচলের। পন্য পরিবহনের। এটা নিয়ে লাভ-ক্ষতির চিন্তা করা যায় না। এবার সরকার গঠনের পর রেল আলাদা মন্ত্রণালয় করে সেতু মন্ত্রণালয় থেকে আলাদা করা হল। আলাদা বরাদ্ধ করা হল। ১৫ বছরে ৮৭৩ কিলোমিটার রেল লাইন নিমার্ন, রেল বৃদ্ধি করা হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, রেলে কক্সবাজার আসা যাবে। এটা স্বপ্ন। কিন্তু এটা বাস্তবেরূপ নিল। ঢাকা থেকে কক্সবাজার রেল আসছে। পঞ্চগড় থেকে কক্সবাজার আসার উদ্যোগ নেয়া হবে। উত্তর অঞ্চলের সাথে যুক্ত হবে এই লাইন।

সরকার প্রধান কক্সবাজারের পর্যটনের জন্য আলাদা ব্যবস্থা নেয়া এবং রেলে ওয়াই ফায় ব্যবস্থা করার ঘোষণা দিয়ে বলেন, একজন দুই বাইর থেকে এসে আমাদের পরামর্শ দেবে, খবরদারি করতে তা হবে না।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ১৯৭৫ সালে জাতির জনককে স্বপরিবারে হত্যার পর পরই বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা থেমে গেছে। অথচ এই বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের ৩ বছর ৭ মাস পরই ঘুরে দাঁড়িয়ে ছিল। জাতিসংঘ বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ঘুরে দাঁড়ানো যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে স্বল্প উন্নত রাষ্ট্রের কথা স্বীকৃতি দেয়। কিন্তু ১৫ আগস্টের পর বন্দুকের নল দিয়ে ক্ষমতায় এসে কলংকিত ইতিহাস রচিত হয়েছে। যুদ্ধাপরাধিদের দেশে এসে সম্মানিত করা, মুক্তিযুদ্ধের অর্জনকে মুছে দেয়ার চেষ্টা চলেছে একে একে। সেই বাংলাদেশের মানুষের কল্যানে আমার দেশে ফেরা। আমি এদেশের মানুষের জন্য সর্ব কিছু করতে চাই। ক্ষমতার লোভে দেশের সম্পদ বিক্রি করতে রাজী না। আমি বঙ্গবন্ধুর কন্যা।

এরপর রেল যোগে ঘুরবেন ১২ কিলোমিটার এলাকা ঘুরতে যান তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

.coxsbazartimes.com

Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themesbcox1716222888